উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮/১১/২০২২ ৯:৫৭ এএম

কক্সবাজারের টেকনাফে প্রথম দফায় আত্মসমর্পনকারি ১০১ ইয়াবা কারবারির মামলায় ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারা বলে আসামীদের চুড়ান্তভাবে চিহ্নিত করা সম্পন্ন হয়েছে। এই মামলায় আসামিদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য প্রদান ও অন্যান্য কাগজ উপস্থাপনের অনুমতিতে চাওয়ায় আদালত তা মঞ্জুর করে সাফাই সাক্ষ্য উপস্থাপন ও যুক্তি-তর্কের জন্য আগামি ১৪ নভেম্বর তারিখ ধার্য্য করেছেন।

সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ ধার্য্য দিন ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম। তিনি জানান, সোমবার (৭ নভেম্বর) ১০১ জন আসামিকে চিহ্নিত করে আদালত। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী ২ জনের সাফাই সাক্ষ্য প্রদানের আবেদন করেন। আদালত তা আমলে নিয়ে ১৪ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ওই দিন সাফাই সাক্ষ্য শেষ হলে যুক্তি-তর্ক শেষে জানা যাবে কবে এ মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে।
পিপি জানান, গত ৩০ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা এর সাক্ষ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছে আদালতে। বর্তমানে মামলার সকল আসামী জামিনে আছেন।
২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার টেকনাফ সদরের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে ১০২ জন আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি ও গডফাদার সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০ টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ৭০ রাউন্ড গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিনই আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনকে আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। বাদী হয়ে মামলাটি করেন টেকনাফ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় পরিদর্শক এবিএমএস দোহাকে। মামলা দায়েরের দিনই আদালতের মাধ্যমে সকল আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ১০২ জন আসামীর মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে ২০০৯ সালের ৭ আগস্ট মোহাম্মদ রাসেল নামে এক আসামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্ন ফারাহ এর আদালত ১০১ আসামীর বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। একই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সকল আসামীর উপস্থিতিতে শুনানী শেষে মামলার চার্জ গঠন করেন।
মামলার বিবরণী মতে, আত্মসমর্পনকারিরা সকলেই সরকারের তালিকাভ‚ক্ত ইয়াবা কারবারি ও গডফাদার। যেখানে উখিয়া টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাই সহ ৮ জন নিকট স্বজন রয়েছে।

২০২০ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরও ২১ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পন করে ছিল। এ মামলাটি এখন বিচারাধিন রয়েছে।

পাঠকের মতামত

রেঙ্গুন থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প: মাদক কারবারী শালা দুলাভাইয়ের আধিপত্য

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের পুরাতন রাজধানী রেঙ্গুনে (বর্তমানে ইয়াঙ্গুন নামে পরিচিত) বাস করেন রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

কর্ণফুলী টানেলের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক জেড-১০৪০ উন্নয়ন প্রকল্প ...

৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকীতে ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামানভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রামে শহীদ মৌলভী ফরিদ আহমেদ

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান ...

মানব পাচার প্রতিরোধ আইন প্রয়োগ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণ

উখিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ আইন–২০১২ বিষয়ে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ...